উগ্রকথন

“ধর্মবিদ্বেষী উগ্র নাস্তিক আর উগ্র মৌলবাদী এই দুই গ্রুপই সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর । এদের চুদার টাইম নাই , সরি আছি” – রাফিউজ্জামান সিফাত, একজন মধ্যমপন্থী সুশীল শান্তিকামী

এটা কেবল একজন রাফিউজ্জামান সিফাতের কথা নয়। বহু লোক আছেন যারা তার এই কথার সঙ্গে একমত হবেন। উগ্রতার দাড়িপাল্লায় নাস্তিকদেরকে মৌলবাদীদের কাতারে ফেলে দিয়ে নাস্তিকতা নির্মূলের এই মহান ব্রতীদেরকে দেখে আসছি অনেকদিন ধরেই। সম্প্রতি নাস্তিকদের ফাঁসি চেয়ে যে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছে, তাতে করে ধর্মের অবমাননাকারী ও ধর্মবিদ্বেষী একজন হিসেবে চুপ করে বসে থাকা সম্ভব হচ্ছে না আর। আমার মতো অকর্মণ্য অলসকেও এবার নড়েচড়ে বসতে হচ্ছে, লিখতেই হচ্ছে এসব ছাইপাশ নিয়ে। শুরুতেই ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখি, কেউ যদি ভেবে থাকেন এখানে কেবল ইসলামকেই টার্গেট করা হয়েছে, সে অবশ্যই সঠিক। এই মুহূর্তে অন্য সব ধর্মের চেয়ে যেটা নাস্তিকদের মাথাব্যাথার কারণ হয়েছে, তার পেছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে ইসলাম। অন্য ধর্মাবলম্বীদের আপাত নিরবতায় তাদের ধর্ম এই পোস্টের আলোচনার বাইরে।

শুরুটা হোক ‘ধর্মবিদ্বেষ’ থেকে। এর মানে কী? ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ, ঘৃণা। ঘৃণা-বিদ্বেষ অনেককিছুর প্রতিই পোষণ করে থাকে মানুষ। চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই, খুন, ধর্ষণ থেকে শুরু করে প্রতারণা বা মিথ্যার মতো হাজারটা বিষয়কে নথিভুক্ত করা যাবে যার প্রতি দেশ-কাল-জাতি নির্বিশেষে মানুষের স্বভাবতই বিদ্বেষ থাকে। কারণ, এগুলো ক্ষতিকর, মানবাধিকারের পরিপন্থী। প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে ধর্ম কী দোষ করেছে যে বিদ্বেষী হতে হবে? করেছে, বরং প্রশ্ন করা উচিত কী করে নি। মানবতার পরিপন্থী অজস্র দোষে দুষ্ট একেকটা ধর্ম। মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি, অন্য ধর্ম ও ধর্মালম্বীদের প্রতি ঘৃণা, যুদ্ধ, হানাহানি কী নেই যা বৈধতা দেয় নি ধর্ম? মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া সহ অজস্র মিথ্যা কাল্পনিক গালগল্প, পরকালে শাস্তির ভ্রান্ত ভয় বা পুরষ্কারের মিথ্যে আশা – এসবই তো মানবতার সঙ্গে প্রতারণা। চোখ-কান মুদে থাকা অন্ধ বিশ্বাসীদের পক্ষে সম্ভব না এটা উপলব্ধি করা। এটা সম্ভব হয় ধর্মের বলয় হতে বেরিয়ে আসা নিধর্মী-নাস্তিকদের। দেখে-শুনে চুপচাপ বসে থাকাও এদের পক্ষে সম্ভব হয় না, হয়ে পড়ে বিদ্বেষী। জন্মের পর থেকে সত্যি বলে জেনে আসা একটা ধর্মের অসারতা, মিথ্যাচার, অনাচার, বর্বরতা, নোংরামি দেখে বিশ্বাস হারিয়ে এরপর সেটার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ না করলেই বরং একজন অবিশ্বাসীর সততা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

সাধারণভাবে দেখলে উগ্র মৌলবাদী আস্তিক কী করে? মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে, নিজ বিশ্বাসের বিরুদ্ধাচরণকারীর বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়, মানুষ মারে । উগ্র নাস্তিক? সিফাত সাহেব এর ব্যাখ্যায় যান নি। ধরে নিতে পারি, তারা ধর্মের পাছায় চাবুক চাবকায় তাদের লেখনি দিয়ে যেটা কেবল উগ্র আস্তিকই নয়, মধ্যমপন্থীদের ধর্মানুভূতির পশ্চাদ্দেশকেও লাল করে তোলে। এ দুই দলের পার্থক্যটা খুবই স্পষ্ট। একটা মানবতাকে সরাসরি কুঠারাঘাত করে সহিংস পন্থায় (ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন)। আরেকটা ধর্মের নষ্ট থাবা থেকে মানবতাকে মুক্ত করে কলমের জোরে। ঘটনাক্রমে এ মুক্তির প্রথম পদক্ষেপটা হয় আজন্ম লালিত বিশ্বাসকে ভেঙে ফেলার তিক্ত স্বাদ নেবার মধ্য দিয়ে, ধর্মানুভূতিকে আহত হতে দিয়ে। সবচেয়ে বড় কথা, এক্ষেত্রে যে কারো পূর্ণ স্বাধীনতা আছে তার নিজের ধর্মবিশ্বাসে অটল থাকতে; এতে কেউ তাকে বাধ্য করে না তাকে অবিশ্বাসী হতে। যাহোক, সিফাত সাহেবের মতো আরো অনেকেরই ধারণা এ দুটোই নাকি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। আসলে কি তা-ই?

আগে দেখি উগ্রতার সংজ্ঞা কী। বাংলা একাডেমী প্রণীত অভিধানে দেখা যাচ্ছে এর অর্থ প্রচণ্ড, ঘোর, তীব্র, চড়া, কর্কশ, কোপন, রূঢ়, নিষ্ঠুর ইত্যাদি। এক্ষেত্রে প্রচন্ড ধার্মিক কাউকে যদি ‘উগ্র’ বলা যায়, ঈশ্বরের অস্তিত্বে প্রচন্ড অবিশ্বাসী কাউকে ‘উগ্র’ বলাতে সেক্ষেত্রে আপত্তির কিছু দেখি না। ‘উগ্র’ শব্দটাকে অবশ্য আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। উগ্র মৌলবাদী আস্তিকের কথা উপরে বলেছি। ব্যবহার সাপেক্ষে ‘মৌলবাদ’-এরও বিভিন্ন অর্থ হতে পারে। সাধারণভাবে, মৌলবাদী হচ্ছে সে যে ধর্মের আদি, মৌলিক, বিশেষ করে ধর্মগ্রন্থের নির্দেশমালা ও বিধিবিধানগুলোকে আক্ষরিক অর্থেই সত্য বলে বিশ্বাস করে। উদাহরণস্বরূপ আদম-হাওয়ার কিচ্ছাকাহিনীকে আক্ষরিক, অর্থাৎ, রূপকার্থে নয় বলে বিশ্বাস করা। মৌলবাদী কেউ যদি কোরানের সহিংসতাপূর্ণ আয়াতে অনুপ্রাণিত হয়ে জিহাদে নেমে মানুষ মারতে থাকে, সেক্ষেত্রে –কোন সন্দেহ নেই – তার উগ্রতা অবশ্যই ক্ষতিকর।

সমস্যা হচ্ছে, এই উগ্রতার মানদণ্ড কী? আস্তিকদের উগ্রতার মাত্রা কীরূপ হতে পারে দেখেছি, তেমনি নাস্তিকদের ক্ষেত্রে উগ্রতার মাত্রা ঠিক কতটুকু? কোন মাত্রায় গেলে একজন নাস্তিকের উগ্রতাকে ক্ষতিকর বলা যেতে পারে? আমার চোখে তো এমন কোন নাস্তিককে পড়তে দেখি নি কখনো যে কিনা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্ম পালন কিংবা ঈশ্বরে বিশ্বাসের কারণে কোন আস্তিককে হত্যা করার পক্ষে। এমনও তো দেখি নি যে কোন নাস্তিক একজন আস্তিকের বিশ্বাসে নিদেনপক্ষে কোনভাবে বাধা প্রদান করছে। তাহলে কি মধ্যমপন্থী শান্তিকামীদের চোখেই ক্ষতিকর উগ্র নাস্তিকেরা পড়ে শুধু? নাকি ভেবে নেব এই মধ্যমপন্থীরা কোন এক দুরারোগ্য অজানা মানসিক অসুস্থতায় ভুগছে যার কারণে আস্তিক-নাস্তিকের উগ্রতার তফাৎ করতে এরা অপারগ, দুটিকেই তারা একই মনে করছেন? (এই ফাঁকে জিজ্ঞেস করে রাখি – ধর্মই এই অসুস্থতার কারণ না তো?)

‘উগ্র’ ট্যাগধারি নাস্তিকেরা বড়জোর যেটা করছে সেটা হলো নোংরা মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত একটা ব্যবস্থার সমালোচনা এবং একে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রশ্রয়ের কারণে কিছুক্ষেত্রে ধার্মিকদের সমালোচনা। একটি পরমতসহিষ্ণু আলোকিত সভ্য সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে এতে যেমন একই সঙ্গে বিভিন্ন মতের সহাবস্থান থাকবে, তেমনি থাকবে এদের পারষ্পরিক সমালোচনা। বিভিন্ন মতের দ্বান্দ্বিক সহাবস্থানেই নির্ভর করে একটি সমাজের প্রগতি। আর এই দ্বন্দ্বের প্রকাশ ঘটে গঠনমূলক সমালোচনায়, কারো বাকস্বাধীনতা হরণ করে কিংবা বিরুদ্ধমতাদর্শীকে ফাঁসি দিয়ে নয়। এই সমালোচনার মাধ্যম হিসেবে হয়ত কেউ বেছে নেয় অ্যাকাডেমিয়ার রেফারেন্সসমৃদ্ধ পুরোমাত্রার ইন্টেলেকচুয়াল ক্রিটিক, কেউ নেয় কার্টুন বা স্যাটায়ার। আশার কথা, অনেকেই যুক্তিতর্কনির্ভর সমালোচনাকে মেনে নিতে রাজী আছেন, তবে ‘গালাগালি’-তে তাদের তীব্র আপত্তি। আমাদের এই তথাকথিত শিক্ষিত সমাজ পৃথিবীর সকল বিষয়ের কার্টুন-স্যাটায়ারকে সৃজনশীল চর্চা বলে মেনে নিলেও ধর্মীয় সমালোচনামূলক কার্টুন-স্যাটায়ারকে বলছে ‘বিকৃত গালিগালাজ’। ব্যাঙ্গ আর গালির মধ্যে পার্থক্য করতে না পারা এসব দ্বিচারী শিক্ষিত(!) মানুষদের জন্য আমার শুধুই করুণা। আর যদি ধরেও নিই এই উগ্র নাস্তিকেরা ধর্মকে বিকৃতভাবে গালিগালাজ করছে, তবুও, আস্তিকদের উগ্রতার সর্বোচ্চ মানদণ্ডে এই গালাগালির অবস্থান কোথায়? বোলার শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রীকে নিয়ে সিফাত সাহেবের এই স্ট্যাটাসের মতোই কেউ যদি মুহাম্মাদ ও তাঁর শিশুপত্নী আয়েশাকে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক স্ট্যাটাস দেয়, আদপে তাকে খুব দোষারোপ করা চলে কি?

ইদানীং একটা মজার ব্যাপার লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেকেই বলছে তারা বাকস্বাধীনতার পক্ষে অর্থাৎ, ধর্ম-সমালোচনার বিপক্ষে নয়, কিন্তু তাই বলে ধর্ম অবমাননা তারা মানবেন না। ঠিক কী বললে বা লিখলে সেটাকে ‘অবমাননা’ বলা হবে সেটা তারা স্পষ্ট করছেন না। ধর্মবিদ্বেষী কেউ ধর্মের মা-বাপ তুলে অশ্লীল গালি দিলে কেউ বলতে পারে তার ধর্মের অবমাননা হয়েছে। আবার সুশীল শব্দচয়নে, কোরান-হাদিস থেকে মোটা অক্ষরের উদ্ধৃতি দিয়ে কাব্যের ঝনঝনানিতে ধর্মের সমালোচনা করলেও সেটা কারো কাছে ‘অবমাননা’ ঠেকতে পারে। সত্যি বলতে, ধর্মকে অবমাননা না করে বরং শ্রদ্ধায় গদগদ হয়ে কেউ ধর্মের সমালোচনা করতে যায় না। সমালোচনার মানেই হচ্ছে ধর্মের নিজেকে পরম সত্য, পূজনীয়, সর্বশ্রেষ্ঠ, নির্ভূল ও প্রশ্নাতীত বলে করা দাবির বিরুদ্ধাচরণ। সোজা কথায় এটাই ধর্মের অবমাননা। একটু ব্যাখ্যা করি। ধরুন, আপনি একটা কথা বলেছেন যেটা ‘মিথ্যা’ বলে আমি তার সমালোচনা করেছি। এর মানে আমি আপনাকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলছি। কাউকে মিথ্যাবাদী বলা আর যাই হোক, শ্রদ্ধাপ্রসূত নয়। অর্থাৎ, নেতিবাচক সমালোচনা বস্তুত ধর্মের অবমাননাই। সুতরাং, “ধর্মের সমালোচনা করা যাবে, তবে অবমাননা নয়” বলে নিজেকে বাকস্বাধীনতার পক্ষের লোক বলে প্রমাণ করে দিয়েছে ভেবে আত্মতৃপ্তি পাওয়া লোকেরা যে আসলে শব্দ নিয়েই খেলছে, তা আর অস্পষ্ট থাকছে না। অবমাননার দোহাই দিয়ে ঘুরিয়ে পেচিয়ে যে আদতে সমালোচনাকেই রুখতে চাইছে এরা, সেটা বুঝতে আসলে খুব বেগ পেতে হয় না।

উগ্রতার স্পেক্ট্রামের দুই মেরুতে আস্তিক-নাস্তিককে বসিয়ে দিয়ে নিজেকে মাঝখানে রেখে ভালোমানুষী ভাব ধরার প্রচেষ্টাই বা কতখানি কাণ্ডজ্ঞানের পরিচায়ক? নিজেকে মধ্যমপন্থী বলার মানে কি তারা নমনীয় ফ্লেক্সিবল কিংবা তরল প্রকৃতির কিছু যারা না নাস্তিক, না আস্তিক, কিংবা আস্তিক-নাস্তিক দুটোই, অর্থাৎ, পরিস্থিতি বিবেচনায় সময়ে সময়ে নাস্তিক বা আস্তিক হয়ে উঠতে পারেন? নাকি তারাও অনড় উগ্রবিশেষ (উগ্র মধ্যমপন্থী?) কিছু? যেহেতু কেউ হয় ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করবে, নাহয় করবে না, তাই এর মাঝামাঝি আর কোন বিশ্বাস বা অবিশ্বাস থাকতে পারে না। আর এ অবস্থায় যেকোন একটি দিকে উগ্র (ধার্মিকদের ক্ষেত্রে উগ্র মৌলবাদী) হওয়া ভিন্ন কোন সৎ পন্থা নেই। এ নিয়ে অভিজিৎ রায়ের অসাধারণ এই লেখাটির অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এই কথাগুলো দিয়েই আপাতত শেষ করছি –

ইদানিং দেখছি ‘উগ্র’ শব্দটা পজিটিভ নেগেটিভ সসব কিছুর সাথেই ট্যাগ করে কাঠালের আমসত্ত্ব কিংবা হাঁসজারুমার্কা বাক্য তৈরি করছেন দিশা দেখানো সেলিব্রিটি ব্লগারেরা । ইদানিং এটা একটা খুব ভাল চল হয়েছে বটে। কিন্তু একটু চোখ খোলা রাখলেই দেখা যায়, এই ধরণের বক্তব্য কত অসার। যারা এগুলো বলেন তাদেরকেই যদি উল্টে বলা হয়- ‘উগ্র আওয়ামিলীগ আর উগ্র বিএনপি দুইটাই খারাপ, একাত্তর বিরোধী’ কিংবা ‘উগ্র মুক্তযোদ্ধা আর উগ্র রাজাকার দুইটাই খারাপ’ – তখন কিন্তু এই মাইনকার চিপা খোঁজা ‘মিডেল ম্যান’রাই হাঁ রে রে করে উঠবেন। নিপুন পলিটিশিয়ানদের মতো তাদের প্রক্ষিপ্ত বাক্যারলীতে চটক থাকলেও সেটা বোধশক্তির বিচারে অর্থহীন। কেউ যদি বলে  ‘উগ্র সেক্যুলার আর উগ্র মৌলবাদী দুইটাই খারাপ’ – এটার কি কোন অর্থ হয়? কোন অর্থ হবে যদি কেউ বলে  ‘উগ্র বিজ্ঞানমনস্ক আর উগ্র কুসংস্কারাচ্ছন্ন  দুইটাই বাজে, দুটোই একাত্তরবিরোধী?’ না হয় না। ওয়ান সাইড ক্যান বি রং, ডেড রং।  ‘বিবর্তন বনাম সৃষ্টিবাদী রূপকথা’ কিংবা  ‘বিজ্ঞান বনাম সংস্কার’  ‘একাত্তরের চেতনা বনাম রাজাকারী’ – এগুলোর মাঝে একটা স্ট্যান্ড নিতেই হয়। দুই নৌকায় পা রেখে মডারেট সাজার কোন অর্থ নেই।  ‘হাফ প্রেগ্নেন্সি’ কিংবা  ‘মডারেট প্রেগ্নেন্সি’ যেমন হয় না ; কোন নারী হয়  ‘প্রেগনেন্ট’, নতুবা  ‘প্রেগনেন্ট নয়’ – এইটাই বাস্তবতা। মাঝে মধ্যে বাস্তবতাটা বোঝা জরুরী। কাজেই   ‘উগ্র ধর্মান্ধ আর উগ্র ধর্মবিদ্বেষীর চিপায় বিরক্তিকর অনলাইন জীবন’ এর আহাজারি করবেন না; এটা আমাদের কাছে ‘উগ্র মুক্তিযোদ্ধা আর উগ্র রাজাকারের  চিপায় আপনার বিরক্তিকর অনলাইন জীবন’ এর মতো হ্যাস্যকর শোনাচ্ছে।

Leave a comment