‘থিওরি’ কপচানোর আগে যে শব্দগুলোর অর্থ জেনে নেয়া জরুরী

ভাষার কাজ হচ্ছে মনের ভাব প্রকাশ করা, আমি যেটা অন্যকে বোঝাতে চাই, সেটাকে কিছু শব্দ বা বাক্যের মাধ্যমে অন্যের কাছে পৌঁছানো। নিত্যদিনের ব্যবহার্য নানা শব্দ দিয়ে বেশিরভাগ সময়ই হয়ত আমরা মনের ভাব প্রকাশের কাজটা চালিয়ে নিতে পারি, তবে গোল বাধে বিজ্ঞানের কোন বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে। তখন আর এসব শব্দ আমাদের কাঙ্ক্ষিত অর্থটি বহন করে না।

cu4uptuwcaaaoyj
খুউউপ খিয়াল কৈরা

সমস্যাটা আরো প্রকট হয়ে দেখা দেয় তথাকথিত শিক্ষিত লোকজনের সঙ্গে কথোপকথনের সময়। সমৃদ্ধ ভাষাজ্ঞানসম্পন্ন লোকও বৈজ্ঞানিক টার্মিনোলজির সঙ্গে পরিচিতি না থাকায় মারাত্মক সব ভুল করে বসেন। ফলাফলঃ গঠনমূলক আলোচনা গিয়ে গড়ায় অযথা নিরর্থক বিতণ্ডায়।

বিজ্ঞান কাজ করে নিশ্চয়তা নিয়ে। আর তাই সবকিছুই এখানে খুব সুনির্দিষ্ট ও সুসংজ্ঞায়িত। ডিকশনারিতে একটা শব্দের বিভিন্ন অর্থ থাকতে পারে সত্যি, তবে বিজ্ঞানের রাজ্যে একটি শব্দ দ্বারা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বিষয়ই বোঝানো হয়। শুনতে স্ববিরোধী মনে হতে পারে, আসলে বিজ্ঞানের বিশুদ্ধতা রক্ষার্থেই দৈনন্দিন নানা মামুলি শব্দ এখানে পুরোপুরি ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে। গোল বাধানো এমনই কয়েকটি শব্দ নিয়ে মূলত এ পোস্ট।

১। থিওরিঃ সবচেয়ে বেশি ভুলভাবে ব্যবহৃত হয় বোধহয় এ শব্দটিই। এর সবচেয়ে বেশি অপব্যবহার হতে দেখেছি বিবর্তনবাদ বিষয়ক লেখালেখিতে। ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট তো বটেই, জাকির নায়েকের মতো তথাকথিত পণ্ডিতও এ ভুলটি করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন

এটা ঠিক যে শব্দটির দৈনন্দিন ব্যবহারিক অর্থ হচ্ছে কোন কিছু সম্বন্ধে অনিশ্চিত মনপ্রসূত একটা ধারণা। কিন্তু বিজ্ঞানে থিওরি বা তত্ত্ব হচ্ছে যেকোন আইডিয়া বা মতবাদের সবচেয়ে সম্মানজনক লেবেল। অবাক হলেন? ওয়েল, ব্যাখ্যায় আসছি।

একটা ধারণাকে বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের পর্যায়ে আসতে গেলে অনেক বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে আসতে হয়। পথটা হয় মোটামুটি এরকম –

বিজ্ঞানী প্রথমে কোন ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন। যখন দেখা যায় ঘটনাটা প্রতিবার একইভাবে, একই নিয়মে ঘটছে, তখন সেটাকে একটা Law বা সূত্রে নিয়ে আসা হয়। এরপর এই ঘটনা কেন হয়, কীভাবে হয় ইত্যাদি ব্যাপারগুলোকে একটা হাইপোথিসিস বা প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যাখ্যার চেষ্টা করেন। এই ব্যাখ্যাটি সঠিক কিনা যাচাই করার জন্য এবার তিনি কিছু ভবিষ্যদ্বানী দেন, পরীক্ষণের কথা বলেন। পরীক্ষাগুলোতে কিছু ঘটনা পর্যবেক্ষণের কথা থাকে, যেগুলো তখনই ঘটবে যদি এবং কেবল যদি ব্যাখ্যাটা সঠিক হয়। যদি দেখা যায় পরীক্ষাগুলো নেগেটিভ রেজাল্ট দিচ্ছে, তখন ব্যাখ্যায় ঘষামাজা করে সংশোধন এনে আবারও নতুন করে পরীক্ষা করতে হয়। এরকম দুই-একটা পরীক্ষায় যদি হাইপোথিসিসটা উৎড়ে যায়ও, এরপরও নচ্ছার বিজ্ঞানীমহল সাধারণত তা মেনে নেয় না। একটার পর একটা পরীক্ষা বিভিন্ন জনের দ্বারা, বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন স্থানে সংঘটনের পর যদি দেখা যায় প্রতিবারই পজিটিভ রেজাল্ট আসছে, তখন এ সমস্ত পর্যবেক্ষণ ও ব্যাখ্যাকে সুসংবদ্ধ করে একটা মতবাদ দাঁড় করানো হয় এবং ততক্ষণে দেখা যায় এ ব্যাখ্যা বৈজ্ঞানিক মহলে ব্যাপক সমাদরে গৃহীত হয়ে বসে আছে। এ অবস্থায় এসে মতবাদটিকে বলা হয় থিওরি, বাংলায় যাকে বলে তত্ত্ব

sci-method2
পর্যবেক্ষণ, হাইপোথিসিস, পরীক্ষণ হয়ে সব শেষে থিওরিতে উত্তোরণের ধাপগুলো

অর্থাৎ, থিওরি হচ্ছে একটা ঘটনার ব্যাখ্যা, যেটা প্রচুর পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফ্যাক্ট ও তথ্যপ্রমাণ দ্বারা সিদ্ধ। সুতরাং, কেউ যখন বলে, ‘অমুক মতবাদ তো কেবলই একটা থিওরি’, তখন এর অর্থ দাঁড়ায় এই যে, সে আসলে বলতে চাচ্ছে, মতবাদটা যথেষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত একটা বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা। ডারউইনের থিওরি অফ ইভল্যুশনের মতো এরকমই কিছু থিওরি হচ্ছে নিউটনের থিওরি অফ গ্র্যাভিটি, আইন্সটাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটি ইত্যাদি।

42d59c745d4aa463af9921012e289f4b
দিন লাফ, যা থাকে কপালে। গ্র্যাভিটি তো একটা থিওরিই।

২। ন্যাচারালঃ গতকাল টেলিভিশনে ব্রণ দূর করার একটা ফেসওয়াশের বিজ্ঞাপন দেখলাম যাতে আছে হার্বাল উপাদান এবং ন্যাচারাল স্যালিসাইলিক অ্যাসিড। ব্রণের চিকিৎসায় স্যালিসাইলিক অ্যাসিডের ব্যবহার অনেক পুরনো, তবে ন্যাচারাল স্যালিসাইলিক অ্যাসিড কোন দিক থেকে পরীক্ষাগারে তৈরি-টা থেকে ভিন্ন এবং উপকারী, অল্প জ্ঞান নিয়ে সেটা বোঝা আমার কম্ম নয়। তবে ‘প্রাকৃতিক’ ট্যাগ লাগানো জিনিসের প্রতি মানুষের যে প্রেম, তার কিছুটা যদি প্রকৃতির জন্য থাকতো, তবে পৃথিবীটা কখনো বসবাস-অযোগ্য হয়ে উঠতো না।

19cthsq3h02qrpng
জেনে নিন একটি পুরদস্তুর প্রাকৃতিক কলার টপ-সিক্রেট ইনগ্রেডিয়েন্টগুলো।

যাহোক, প্রশ্ন হচ্ছে, ‘প্রাকৃতিক’ বলতে আসলে কী বুঝায়? সোজা কথায় বললে, যেটা প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। আদতে আশপাশে দেখতে পাওয়া সবকিছুই হয় প্রাকৃতিক, নয়ত প্রাকৃতিক কোন উপাদান থেকেই পাওয়া। কিছুই অতিপ্রাকৃত কোন জগৎ থেকে আমদানি করা নয়। প্রকৃতিতে পাওয়া উপকারী নানা উপাদানের অনেকগুলোই যেমন আমরা পরীক্ষাগারে তৈরি করতে পারি, তেমনি প্রাকৃতিক হলেই যে কিছু ভালো হয়ে যাবে তা-ও নয়। যেমন ধরেন আর্সেনিক, এটা কিন্তু খুবই সহজলভ্য একটা মৌল, না চাইতেই প্রকৃতিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এটা শরীরে গ্রহণ করতে করতে লিথাল ডোজ কমপ্লিট করে ফেললে পটল তুলতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয় না। এমনই আরেকটা উপাদান হচ্ছে বটুলিনাম বিষ, বোটক্স নামেও যেটা পরিচিত। তীব্রতম প্রাণঘাতী বিষ হিসেবে পরিচিত এ পদার্থটিও কিন্তু পুরোপুরি প্রাকৃতিক। পানিও প্রাকৃতিক, কিন্তু একবারে একটু বেশি পান করে ফেলবেন তো…। থাক, বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।

৩। ডাইনোসরঃ ডাইনোসরের মুভিগুলোতে যদি লক্ষ করেন – কয়েকটা শান্ত টাইটানোসর, আগ্রাসী টি-রেক্স, আর কিছু বদমাশ ভেলোসিরাপ্টরকে দিয়ে কাহিনী তেমন জমে না। এজন্য আকাশে থাকে টেরোডাক্টাইল (Pterodactyl) কিংবা টেরানোডন (Pteranodon), পানিতে মোজাসর (Mosasaur), প্লেসিওসর (Plesiosaur) ইত্যাদি। শুনে হতাশ হবেন না, শেষে যে চারটির নাম উল্লেখ করলাম, এরা কোনটাই ডাইনোসর না। প্রথম দু’টি ছিলো ফ্লায়িং রেপ্টাইল, বাংলায় তর্জমা করলে হয় উড়ন্ত সরীসৃপ, আর পরের দু’টি মেরিন রেপ্টাইল বা সামুদ্রিক সরীসৃপ। জ্বী হ্যা, ডাইনোসররা হচ্ছে ২৩১.৪ থেকে ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে চড়ে বেড়ানো ডাঙার সরীসৃপ। পানিতে সাঁতরানো বা হাওয়ায় উড়ন্ত সমসাময়িক সরীসৃপেরা কেউ ডাইনোসর ছিলো না! জলে সাঁতরাতে পারা একমাত্র যে ডাইনোসরটি পাওয়া গেছে এখন পর্যন্ত, তার নাম স্পাইনোসর (Spinosaur) – এরা মূলত ডাঙার প্রাণী হলেও শিকার করতো পানিতে। আর আকাশে ওড়া ডাইনোসর দেখতে চাইলে বাইরে তাকান, প্রথম যে পাখিটিকে দেখবেন, ওটাই একটা ডাইনোসর। অবাক হবার কিছু নেই, এরা আসলে সবই ডাইনোসরদের একটা বিশেষ প্রজাতির সরাসরি বংশধর – বিলুপ্তি থেকে রক্ষা পাওয়া পৃথিবীর সর্বশেষ ডাইনোসর এরা। আদিম প্রাইমেটদের থেকে বিবর্তিত মানুষ যেমন এখনো এক প্রজাতির প্রাইমেট, তেমনি পাখিরাও এক প্রকার ডাইনোসর।

pteranodonsd
শিল্পীর কল্পনায় আঁকা টেরানোডন
plesiosaurus2
প্লেসিওসরাস। মাথাকে লেজ ভেবে ভুল করবেন না আবার!

৪। পয়জনাস/ভেনমাসঃ অফিস থেকে ফিরে মাঝেমাঝে সন্ধ্যায় ছাদে উঠে এক আঁতেল বন্ধুর সঙ্গে নানান বিষয়ে জ্ঞানগর্ভ(!) আলোচনা হয়। সেখানেই কথাপ্রসঙ্গে কীভাবে যেন সেদিন পয়জন, ভেনম আর টক্সিনের কথা চলে এলো। বাংলায় এ তিনটা জিনিসকেই বলা হয় বিষ, আর এ বিষ যাদের থাকে, তারা বিষাক্ত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ইংরেজিতে এদের একেকটার আবার একেক অর্থ। কোনটা কী, সে ব্যাপারে সাত-পাঁচ ভেবে থিওরি দিলাম (বৈজ্ঞানিক থিওরি না অবশ্যই) – সাপেরটা ভেনম, আর অ্যাপোক্যালিপ্টোতে দেখানো ব্যাঙেরটা পয়জন – ব্যাস।

বলাই বাহুল্য, আমরা দু’জনেই ভুল। পয়জন আর ভেনম দু’টোই টক্সিন, তবে পয়জন হচ্ছে যেটা আমরা শরীরে গ্রহন করি, যেমন- প্রশ্বাসের মাধ্যমে, খেয়ে, পান করে কিংবা শোষনের মাধ্যমে। আর ভেনম হচ্ছে যেটা কিছু থেকে নিঃসৃত হয়, যেমন- বিষদাঁত, কাঁটা ইত্যাদি।

এ ব্যাপারটা জানা থাকলে শসা-টমেটো-গাজর দিয়ে পরিবেশিত গরম ধোঁয়া ওঠা সুস্বাদু মসলাদার ভেনোমাস রাসেল’স ভাইপারটিকে খেয়ে নেবেন, নাকি পয়জনাস পটকা মাছের কামড় থেকে গা বাঁচিয়ে চলবেন, এটা নিয়ে ভাবতে আর দোদুল্যমানতায় ভুগতে হবে না। তবে এটাও খেয়াল রাখা প্রয়োজন যে, কিছু প্রাণী আছে যারা একই সাথে ভেনমাস ও পয়জনাস, যেমন, এশিয়ান টাইগার স্নেইক। এদের থেকে সাবধান!

৫। ধূমকেতু/গ্রহাণু/উল্কা/উল্কাপিণ্ডঃ আরে এ আর এমন কী জানার বিষয়! আকাশে লেজওয়ালা যেটা দেখি, ওটা ধূমকেতু, ইংরেজিতে যাকে বলে Comet রাতের বেলা হঠাৎ জ্বলে উঠে যেটা নিভে যায়, ঐযে ‘তারা খসা’ বলি আমরা যাকে, ওটা উল্কা (Meteor) মাটিতে এসে পড়ে যে বাছাধন, ওটা উল্কাপিণ্ড (Meteorite) আর যেটা কিছুই করে না, ভদ্র ছেলের মতো মহাকাশে ভেসে বেড়ায়, সেটা গ্রহাণু (Asteroid) সবগুলো একই জিনিস, একেক লোকে একেক নামে ডাকে, এই যা!

নো স্যার, সব এক নয়। গ্রহ হবার স্বপ্ন নিয়ে ছোট ছোট ধুলিকণাকে সাথে নিয়ে যাত্রা শুরু করে শেষ পর্যন্ত পাথুরে টুকরার আকারে এসে ব্যর্থ হওয়া সৌরজগতের এসব পিচ্চি-পাচ্চাদের মধ্যেও পরিষ্কার পার্থক্য রয়েছে।

  • ধূমকেতু আর গ্রহাণুগুলো সবই সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণরত বস্তু, আকারে গ্রহদের চাইতে অনেক ছোট, সাইজে ১০ মিটার থেকে শুরু করে ৫৭৮ কিলোমিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্যেরও আছে। ধুমকেতু আর গ্রহাণুগুলোর বয়েস আমাদের সৌরজগতের প্রায় সমান – ৪৫০ কোটি বছর। এগুলো তৈরি হয়েছিলো যখন আমাদের গ্রহগুলো তৈরি হয়, ঠিক একই প্রক্রিয়ায়, তবে পর্যাপ্ত খাদ্য ও পুষ্টির অভাবে খুব বেশি বড় হয়ে উঠতে পারে নি। কিন্তু গ্রহানুগুলো যেখানে ধাতু এবং পাথুরে উপাদানে তৈরি, সেখানে ধূমকেতুগুলো তৈরি হয় বরফ, ধুলিকণা আর পাথর দিয়ে। ধূমকেতুগুলো যখন সূর্যের কাছে চলে আসে, তখন এই বরফেরই কিছু অংশ গলে বাষ্পীভূত হয়ে ধূমকেতুর পেছনে পেছনে চলে, যেটাকে আমরা ধূমকেতুর লেজ বলে থাকি।
  • উল্কা (Meteor) হচ্ছে খুবই ছোট আকৃতির টুকরো যেগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে বাতাসের ঘর্ষণে জ্বলে ওঠে। অধিকাংশ সময়েই এরা পুড়ে ছাই হয়ে বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। এদের ব্যাস হয় ১০ মিটারের কম।
  • উল্কাপিণ্ড (Meteorite) হচ্ছে জ্বলে প্রায় নিঃশেষ হয়ে যাওয়া উল্কারই কিছু ছিটেফোঁটা অবশেষ যেগুলো ভুমিতে এসে পড়ে। উল্কাপাতের স্থানে গিয়ে খুঁজলে এরকম অনেক পাথরখণ্ড আপনি নিজেও পাবেন।

আপাতত এ কয়টিই থাক। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি এগুলোই সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তি তৈরি করে। বহুল ব্যবহৃত এ শব্দগুলোর সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত হওয়া সত্ত্বেও ক্ষেত্রবিশেষে সঠিক অর্থটা জানা না থাকায় প্রায়ই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আর তাই পাঠকদের মধ্যে এ বিভ্রান্তি যতটুকু সম্ভব কমিয়ে আনার প্রয়াস থেকেই এটি লেখা।

সায়ান্স অ্যালার্টের এই পোস্ট অবলম্বনে

Leave a comment